তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মালদা ২ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটায় আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বুধবার, ইঁটের পাঁজা ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন সাতজন। যদিও কোনও প্রাণহানি হয়নি, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক অব্যবস্থার।তৃণমূল ব্লক সভানেত্রী মর্জিনা খাতুনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। তুলসিহাটা হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত সভায় কম্বল ও খিচুড়ি বিতরণে ভিড় জমে কয়েক হাজার মানুষের। আয়োজকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেড় হাজার কম্বলের জন্য প্রায় তিন হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল নেওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এর ফলে মাঠের পাশে থাকা ইঁটের পাঁজা ভেঙে পড়ে এবং তার নীচে চাপা পড়েন পাঁচজন মহিলা সহ মোট সাতজন। আহতদের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।তবে ব্লক সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, কেউ গুরুতর আহত হননি। তিনি বলেন, “কম্বলের চাহিদা বেশি থাকায় সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, কিন্তু বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।”
তবে এই ঘটনা তুলনা টানছে গত বছরের আসানসোলের কম্বল বিতরণ বিতর্কের সঙ্গে। ১৪ ডিসেম্বর বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়। প্রশ্ন উঠছে, মালদার ঘটনায় পুলিশ একই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না।
মালদার এই ঘটনা প্রমাণ করে, দলীয় অনুষ্ঠানগুলিতে জনসচেতনতার অভাব ও প্রশাসনিক অব্যবস্থার জন্য সাধারণ মানুষকেই চরম মূল্য দিতে হচ্ছে।