কলকাতার আরজিকর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হলেও, এখন নতুন প্রশ্ন উঠছে—সঞ্জয় ছাড়া ওই ভয়াবহ ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কি না? আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। সিবিআইয়ের চার্জশিট এবং সিএফএসএল রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছিল তাদের মধ্যে একমাত্র সঞ্জয়কে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু বাকিরা কে? এমনকি সিএফএসএল রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীর থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে, তাতে সঞ্জয় ছাড়া আরও চারজন পুরুষ এবং এক জন মহিলার ডিএনএ ক্রোমোজোম পাওয়া গেছে। এই নতুন তথ্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলি কার ডিএনএ ছিল?
তবে এখানেই শেষ নয়। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সঞ্জয়সহ পাঁচজনকে প্রায় ৬৮বার যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। সেবার রাস্তায় একটি ক্যামেরায় সঞ্জয়কে তিনবার ঢুকতে ও বের হতে দেখা যায়, কিন্তু বাকি চারজনের পরিচয় এখনও স্পষ্ট হয়নি। এমনকি এক জনের গলায় স্টেথোস্কোপ ছিল, তিনি কে?
এই ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, কলকাতা পুলিশ যেখানে তদন্ত শেষ করেছিল, সেখানে সিবিআই নতুন করে কী করেছে? এতদিন পরেও বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারল না কেন?