গঙ্গাসাগর মেলার ভিড়কে কাজে লাগিয়ে নদীপথে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশ তৎপর হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। মেলা উপলক্ষে ১২ হাজার পুলিশকর্মী ও আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের ওপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে, ধরা পড়লে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রোধে জলপথে সুরক্ষা আরও জোরদার করতে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা সুন্দরবন ও সাগর উপকূলে টহলদারি শুরু করেছে। সন্দেহজনক ট্রলার এবং জলযানের ওপর চলছে নজরদারি। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীবন্দর থেকে যাত্রা করা ট্রলাগুলির লাইসেন্স পরীক্ষা করছে পুলিশ। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমুদ্রে কোনও অচেনা ট্রলার চোখে পড়লে দ্রুত খবর দিতে।
গঙ্গাসাগর মেলায় এ বছর পুন্যার্থীদের ভিড় তুলনামূলক কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সতর্কবার্তার পর সুন্দরবন উপকূলের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর মেলা প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক পুন্যার্থীর ভিড়ে জমজমাট হয়। তবে এই ভিড়কে কাজে লাগিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দীর্ঘদিনের। এবছর পূর্ণকুম্ভ মেলার কারণে ভিড় কিছুটা কম হবে বলে অনুমান। তা সত্ত্বেও, সন্দেহভাজনদের ধরতে ও মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কড়া প্রস্তুতি চলছে।
টহলদারি ও নজরদারির মাধ্যমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রোধে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। প্রশাসনের এই তৎপরতা মেলা ও তার আশপাশ এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।