একাধিক ঘাটের হদি সমুদ্রগর্ভে! সাগরমেলা শুরুর মুখে আশঙ্কায় তটের ব্যবসায়ীরা
গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণে অন্যান্য রবীন্দ্র সংগীতের পাশাপাশি সবচেয়ে যে গানটি বেশি কানে আসে তাহল, “ওগো নদী আপন বেগে পাগলপারা…”। এই লাইনটাই যে হঠাৎ করে এতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে বাস্তবেও, তা আর কে জানতো। ইতিমধ্যেই সমস্যা রয়েছেন বহু মানুষ। কারণ, সমুদ্র গর্ভে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঘাট। আর সেই কারণে গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগে মনে আনন্দ নেই তটের ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের।
পূর্ণ প্রাণীর দিন যেহেতু ভরা কটাল থাকে তাই সেদিন ব্যবসা বাতি নিয়ে বুঝতে পারবেন কিনা, বুঝে উঠতে পারছেন না ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। মেলার মরশুমে সারা বছরের রুটিরুজি হিসেবে কয়েকদিনের কেনাবেচাটুকু হবে কিনা সেই ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে ব্যবসায়ীদের। সাগরে এসে বার বার সমুদ্রের এগিয়ে আসার বিষয়টি বলতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আগামী কাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার উট্রাম ঘাট থেকে উদ্বোধন করবেন গঙ্গাসাগর মেলার। মেলা শুরু হয়ে যাবে ১০ তারিখ, শুক্রবার থেকে। ইতিমধ্যেই ঘাটের কাছাকাছি অস্থায়ী দোকান তৈরি করার জন্য বাঁশ বাধার কাজ শেষ হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে সেইখানেই শুরু হয়ে যাবে গুছিয়ে ব্যবসা করার কাজ। কিন্তু গঙ্গার ভাঙ্গনের কারণে তটের ব্যবসায়ীরা বেশ সংকটে। প্রশাসনের তরফে বণ্টন হওয়া জায়গাতেও বসার অধিকার পাননি তাঁরা।
গঙ্গা এখানে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। ভাঙনের সমস্যা একাধিক ঘাটেই রয়েছে। বহু মানুষের তটের উপরে বসে ব্যবসার জায়গা ক্রমাগত চলে যাচ্ছে সমুদ্রের গর্ভে। রবিবার বিকেলের পরে
কচুবেড়িয়ার বাসিন্দা জামসার শাহ ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা বিবি হতাশ চিত্তে ৫ নম্বর ঘাটের আশপাশ ঘুরে দেখছিলেন। সেখানে জামসার দোকান দেন। ভরা কটালে ডালা বসানোর জায়গা জলে ডুবে যায় যদি, তাহলে কোথায় তুলে রাখবেন জিনিসপত্র। এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ তটের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। পুণ্যস্নানের দিনে ভরা কটালের কারণে তাঁদের ব্যবসা শিকেয় উঠবে না তো? সেটা ভেবেই চিন্তিত সকলে।