ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট এবং বাংলাদেশের মহেশপুর এলাকার মধ্যে ৫ কিলোমিটার জমি নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) দাবি করেছে, ১৯৬১ সালের মানচিত্র অনুযায়ী এই জমি তাদের। অন্যদিকে, ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) তাদের দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
এই জমি নিয়ে বিরোধ কোদালিয়া নদী ঘিরে। নদীটি ভারতের রানাঘাট থেকে বাংলাদেশের মহেশপুরে প্রবেশ করে এবং আবার ভারতের দিকে চলে যায়। বিজিবির বক্তব্য অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তান আমলে এই জমি বাংলাদেশ অংশে ছিল। তবে ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, জমিটি ভারতের অধীনে রয়েছে বলে বিএসএফ দাবি করেছে।
সম্প্রতি, ভারতীয় গণমাধ্যমে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিজিবি ওই ৫ কিলোমিটার এলাকায় দখল প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রসঙ্গে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত এবং রেফারেন্স পিলার দিয়ে চিহ্নিত। বিএসএফের মতে, “ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করেনি। দুই বাহিনী শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে।”বিজিবির পক্ষ থেকে পালটা বক্তব্যে মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মহম্মদ আজিজু শাহিদ বলেন, “ভারতীয় মিডিয়ার দাবি অসত্য। এ বিষয়ে বিএসএফের কোনো আপত্তি পাওয়া যায়নি।” বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়াতে নতুন সরঞ্জাম বরাদ্দ করা হয়েছে।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।