খালি পেটে হাঁটা হোক কিংবা ভরা পেটে , সকাল বিকাল হাঁটাচলা করে শরীর ভালো থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও হাঁটাচলা করা খুবই জরুরী। যদিও রাত জাগার অভ্যাসের কারণে আজকাল ভোরবেলা হাঁটতে যাওয়া অনেকেই ভুলে গিয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, রোজ ৭০০০ থেকে ১০০০০ পা হাঁটতে পারলে ৭২ শতাংশ অসুস্থতার ঝুঁকি কমে। কিন্তু সারাদিন পা গুণে হাঁটা একেবারে অসম্ভব।
এবার ব্যস্ততার যুগে আশার আলো দেখালেন ইটালির ইউনিভার্সিটি অফ মিলানের গবেষকেরা। তাঁদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, একটানা হাঁটার চেয়ে মাঝেমধ্যে কাজের ফাঁকে ১০ বা ৩০ সেকেন্ড হাঁটলে ক্যালোরি খরচের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হয়। আর একেই বলে ‘মাইক্রো ওয়াকিং’। এই সমীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের কয়েক মিনিটের জন্য হাঁটানো হয়। বাকিদের হাঁটানো হয় সেকেন্ডের হিসেবে। যারা ১০ কিংবা ৩০ সেকেন্ড হাঁটাচলা করেছেন তাদের ক্যালরি খরচ মিনিটে হিসেবে হেঁটে চলা ব্যক্তিদের থেকে ৬০ শতাংশ বেশি।
গবেষক ফ্র্যান্সিসকো লুসিয়ানো এবং তাঁর সহকর্মীরা ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির ‘বায়োলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে বলেন, সময় ভাগ করে নিয়ে হাঁটাচলা করলে দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে দৈনিক এনার্জি শক্তির খরচ বেড়ে যায় । স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় গাড়ির তেল খরচ যেমন বেশি হয়, অথচ দীর্ঘ এবং দ্রুতগতির যাত্রায় তেল খরচ অনেকটাই কম হয়। এই বিষয়টা ঠিক তেমনি।
ইংল্যান্ডে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানিয়েছে যে, সপ্তাহে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রায় ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত তবে সেই শরীর চর্চায় কোন কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। ইতিপূর্বে অন্য একটি গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশে জানানো হয়েছে, ৩০ মিনিট হাঁটা শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু সেটা যে একেবারেই ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে তা কিন্তু নয়। ভাগে ভাগে হাঁটলে তা আরো কার্যকরী।