বিশ্বের বৃহত্তম আইল্যান্ড গ্রিনল্যান্ড দখলে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেনমার্ক থেকে এটি কিনতে ব্যর্থ হয়ে সামরিক শক্তি প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন তিনি।
গ্রিনল্যান্ড, যাকে বরফের চাদরে মোড়া ধনভাণ্ডার বলা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার নজরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এখানে মার্কিন মিলিটারি ঘাঁটি রয়েছে। এবার গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে বরফ গলে খনিজ উত্তোলনের সুযোগ তৈরি হওয়ায় ট্রাম্পের আগ্রহ বেড়েছে। তেল, কপার, লিথিয়াম, কোবাল্টের মতো মূল্যবান খনিজে সমৃদ্ধ এই এলাকা ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ডেনমার্কের অংশ হওয়া সত্ত্বেও গ্রিনল্যান্ডের অনেক বাসিন্দা স্বাধীনতার পক্ষে। তবে ডেনমার্ক এখনও তাদের বৈদেশিক নীতি ও প্রতিরক্ষার দায়িত্বে। ট্রাম্পের এই বেপরোয়া মনোভাব দেখে ন্যাটো সঙ্গী দেশগুলোও উদ্বিগ্ন। জার্মানি ও ফ্রান্স ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে বরফ গলে আর্কটিক রুট দিয়ে নতুন বাণিজ্যপথ তৈরি হচ্ছে। এটি সুয়েজ খালের তুলনায় ৪০% কম পথের রুট। তাই আমেরিকার কাছে এটি কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প এই অঞ্চলকে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেখছেন।
তবে ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও, সামরিক হুমকি আরও উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। আগামী দিনে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক অস্থিরতা যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।