ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ভারতে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসবাদীদের অধিকাংশই পাকিস্তানি এবং সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ভূমিকা রয়েছে। এর জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে এবং একে “ভারতের ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা” বলে অভিহিত করেছে।
আইএসপিআর-এর বক্তব্য, জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, সেই বিষয় থেকে বিশ্ববাসীর নজর সরাতে ভারতের সেনাপ্রধান এমন মন্তব্য করেছেন। তারা আরও অভিযোগ করেছে, ভারতের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে, তা এই উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে ভারতের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকরণের অভিযোগও তোলা হয়েছে। তাদের মতে, এ ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য ভারতের নিজস্ব সমস্যাগুলি ঢাকার চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।
ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এই উত্তপ্ত সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে, বিশেষ করে সামরিক সহযোগিতার প্রশ্নে। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দেশের সামরিক আধিকারিকদের বৈঠকের পর ভারতের অভিযোগ ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিক্ততা শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক স্থিতিশীলতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।