ভারত মহাসাগর এবং আরব সাগরে আধিপত্য বিস্তার বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার মুম্বইতে আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি এবং আইএনএস বাঘশীরকে জলাভিষেক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে আইএনএস সুরাট গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, আইএনএস নীলগিরি স্টেলথ ফ্রিগেট এবং আইএনএস বাঘশীর কালভারি-ক্লাস সাবমেরিনের ষষ্ঠ ডুবোজাহাজ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত এক দশকে ভারতের নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৩৩টি রণতরী এবং ৭টি সাবমেরিন। এই নতুন জাহাজগুলি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে। মাদক পাচার রোধ, জলদস্যু দমন, এবং সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।
চিনের তুলনায় অবশ্য অনেকটাই পিছিয়ে ভারত। গত দশ বছরে যেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ হয়েছে ৩৩টি রণতরী, সেই সময়ে চিন অন্তর্ভুক্ত করেছে ১৪৮টি যুদ্ধজাহাজ। পাকিস্তানও চিনের সহযোগিতায় তাদের নৌসেনাকে শক্তিশালী করতে চাইছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতীয় নৌসেনার নবনিযুক্ত এই জাহাজগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। আইএনএস নীলগিরি প্রোজেক্ট ১৭এ-র ফ্ল্যাগশিপ রণতরী এবং আইএনএস সুরাট প্রোজেক্ট ১৫বি-র অধীন প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্তর্ভুক্ত রণতরী। দ্রুততার সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ তৈরির মাধ্যমে সামরিক শক্তি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে ভারত।
বিশ্বজুড়ে সমুদ্র নিরাপত্তার প্রতিযোগিতায় ভারত তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে কিনা, তা সময়ই বলবে।