বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কাছে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের জন্য আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি (এগ্রিমো) পাঠালেও, এখনো ভারতের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রক্রিয়ায় সাধারণত তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। তবে, ভারত এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা জানার জন্যই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ।
এদিকে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা। তবে রফিকুল আলম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। শেখ হাসিনা ভারতের কী অবস্থানে রয়েছেন, তা শুধুমাত্র ভারত সরকারই জানাতে পারবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশের সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে। একই সঙ্গে আরও ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গত জুলাইয়ের গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে বলে সরকারের দাবি। তবে ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ঢাকা। তাদের প্রশ্ন, পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পরেও কীভাবে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়?
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের আবেদনও অনুত্তরিত রয়ে গেছে। ঢাকার এই দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।