টেক্সাসের বোকা চিকায় স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময় বিকেল ৫:৩৮ মিনিটে) পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশে পাঠানো হয় স্টারশিপ রকেট। উৎক্ষেপণের পর সফলভাবে সুপার হেভি বুস্টার রকেটটি লঞ্চ প্যাডে ফিরে আসে এবং এটিকে নির্ভুলভাবে ক্যাচ করা হয়। কিন্তু মহাকাশে ছুটে যাওয়া স্টারশিপ রকেটটি এক পর্যায়ে ভেঙে পড়ে। এটি ছিল স্টারশিপ রকেটের সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ এবং চলতি বছরের প্রথম পরীক্ষা।
রকেটের সুপার হেভি বুস্টারে ৩৩টি ইঞ্জিন রয়েছে যা একসঙ্গে ১০০ টন ওজন বহনে সক্ষম। এটি একবারে ১০০ জন নভোশ্চর বহন করতে পারে। তবে পরীক্ষার সময় বুস্টার থেকে রকেটটি আলাদা হয়ে যাওয়ার আট মিনিটের মধ্যেই স্পেসএক্সের মিশন কন্ট্রোল রকেটের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ আগুনের উল্কার মতো মাটির দিকে ধেয়ে আসার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক ঠাট্টার ছলে বলেন, “সাফল্য নিশ্চিত নয়, তবে বিনোদনের নিশ্চয়তা রয়েছে।” এটি স্পেসএক্সের দ্বিতীয়বারের মতো বুস্টার ক্যাচের সফলতা। এর আগে গত অক্টোবরে একই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছিল।
স্পেসএক্সের প্রধান প্রকল্পের লক্ষ্য অন্য গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন। মহাকাশ গবেষণার এই চ্যালেঞ্জিং মিশনে স্টারশিপ রকেটের ভেঙে পড়া সত্ত্বেও, সুপার হেভি বুস্টার ক্যাচিং প্রযুক্তি রকেট প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।