উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশের গুলিতে শনিবার ভোরে খতম হল দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম। পুলিশের দাবি, সাজ্জাক গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, বেপরোয়া দুষ্কৃতীদের দমন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কি উত্তর প্রদেশের যোগী মডেলই অনুসরণ করছে?
রাজ্যে দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলার পরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। যদিও তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এনকাউন্টার সমাধান নয়, বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে হবে।
তবে পুলিশের এই পদক্ষেপে অনেকেই উত্তর প্রদেশের উদাহরণ টেনে আনছেন। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, উত্তর প্রদেশ পুলিশ একাধিক এনকাউন্টার করে ৬৩ জন দুষ্কৃতীকে খতম করেছে। যদিও এই মডেল নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল সহ বিরোধীরা।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সাজ্জাকের মতো দুষ্কৃতীকে খতম করার ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মমতার সরকার কি দুষ্কৃতীদের দমন করতে উত্তর প্রদেশের পথেই হাঁটছে? রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কি তার দক্ষতা প্রমাণে সক্ষম? আপাতত এনকাউন্টার ঘিরে চর্চা তুঙ্গে।