মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে মোবাইল ফোন সহ ধরা পড়লে এবার আর এক বছর নয়, জলে যেতে পারে তিন তিনটে বছর। হ্যাঁ, তিনটে বছর পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। ফোন না আনার বিষয়ে বারবার সচেতন করা হয় ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকদের। কিন্তু তবু যদি কেউ ফোন নিয়ে আসে এবং পরীক্ষা চলাকালীন ধরা পড়ে, অন্যান্য বারের থেকে আরও কঠোর হতে পারে পর্ষদ। পরীক্ষা দেওয়া বাতিল করা হতে পারে তিন বছরের জন্য। এমনটাই জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “পরীক্ষার হলে ঢোকার সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের শিক্ষকেরা পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল আছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখবেন। তা সত্ত্বেও কোনও ভাবে চোখ এড়িয়ে মোবাইল নিয়ে কেউ ঢুকে পড়লে সেই ফোন জমা দেওয়ার শেষ বারের সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি গার্ড দিচ্ছেন, তিনি পরীক্ষা শুরুর আগে শেষ বারের মতো সতর্ক করে দেবেন।”
পর্ষদের সভাপতি আরোও জানিয়েছেন, নির্দেশিকা জারি করা সত্ত্বেও যদি কেউ ফোন জমা না দেয় এবং পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে ফোন সহ কোন পরীক্ষার্থী ধরা পড়ে, তাহলে সেই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষায় বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনকি ফেরত দেওয়া হবে না ফোন। গতবার পরীক্ষা চলাকালীন যে সকল পরীক্ষার্থীর কাছে ফোন মিলেছিল, তাদের ফোন কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বাড়ির লোকজন ওই পরীক্ষার থেকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা ঠিকমতো পরীক্ষা হলে পৌঁছেছে কিনা, ফোন সঙ্গে আছে কিনা।
পর্ষদের সভাপতি রামানুজ জানান, “বহু অভিভাবকের সচেতনতার এতটাই অভাব! মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বয়সে ছোট। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে আসছে। তাই তাদের সচেতন করার কর্তব্য অভিভাবকদেরও।” এসবের পাশাপাশি পর্ষদের তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনটি জায়গায় সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক। প্রথমত পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের মুখে, বারান্দায় এবং সুপারভাইজারের অফিসে বসাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। পরীক্ষা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ রাখতে হবে অন্তত ছয় মাস। পরীক্ষার্থীরা শৌচাগারে কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কোথাও ফোন রেখেছে কিনা তার জন্য নজর রাখতে হবে শিক্ষকদের।