মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে আয়োজিত অল বেঙ্গল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্টের একটি অনুষ্ঠানে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তিনি বলেন, “কার্তিক মহারাজ চুপচাপ থাকতেন আমার ভয়ে। কিন্তু বেলডাঙায় অশান্তি সৃষ্টির পিছনে তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি একজন সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা ও আতঙ্কবাদী।”
বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই কার্তিক মহারাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আমি ৫০ বছর ধরে এখানে আছি। বহু আইপিএস অফিসার আমাকে জানেন। কিন্তু হঠাৎ করে এই ধরনের অভিযোগ হাস্যকর। আমি আইনের দ্বারস্থ হব।”
এর আগেও কার্তিক মহারাজ তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কার্তিক মহারাজ তৃণমূল বিরোধী রাজনীতিতে সক্রিয়। পাল্টা, মহারাজ মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠান।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এই মন্তব্যকে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সন্ন্যাসীদের প্রতি আক্রমণ হিসেবে দেখছেন। তবে তৃণমূল শিবির এই মন্তব্যকে হুমায়ুন কবীরের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
কার্তিক মহারাজের পক্ষ থেকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণার পর, এই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। রাজ্যের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।