গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৭৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েল। দেশটির বিচার মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকার ৭৩৭ জন জেলবন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।” এ বন্দিরা বর্তমানে ইজরায়েলের কারাগার পরিষেবার অধীনে রয়েছেন।
শনিবার ভোরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভোটাভুটিতে যুদ্ধবিরতির পক্ষে রায় দেওয়া হয়। নেতানিয়াহুর দফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে কিছুটা দ্বন্দ্ব থাকলেও শেষমেশ সেই জটিলতা কেটে গেছে।
প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় নারী, পুরুষ এবং নাবালক-নাবালিকার নাম রয়েছে। যদিও রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টের আগে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে না। এর আগে প্রকাশিত ৯৫ জন বন্দির তালিকায় বেশিরভাগ ছিলেন মহিলা।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হলো জাকারিয়া জুবেইদি। প্যালেস্টিনীয় প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আব্বাসের ফতেহ পার্টির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জুবেইদি ২০২১ সালে ইজরায়েলের গিলবোয়া জেল থেকে পালিয়ে প্যালেস্টিনীয়দের কাছে ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন।
এছাড়া মুক্তি পাবেন পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন দলের অন্যতম নেতা এবং বামপন্থী আইনজীবী খলিদা জারার। ইজরায়েল তাঁকে বারবার গ্রেফতার করলেও প্যালেস্টিনীয়দের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ইজরায়েলের এ সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতির দীর্ঘমেয়াদি ফল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।