আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শিয়ালদা আদালতে দোষীসাব্যস্ত হলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। শনিবার শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে জানানো হয়, সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার ঘোষিত হবে সাজা। আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও, আদালত তার প্রমাণ আমল দেয়নি।
সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে বায়োলজিক্যাল প্রমাণ, যেমন ডিএনএ নমুনা, লালারস, টক্সিলজি রিপোর্ট, এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া চুলের নমুনা, যা সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলে গেছে। ভিসেরা রিপোর্টে উঠে এসেছে নির্যাতিতা নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন, যার ফলে সঞ্জয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। সিবিআই এই মামলাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছে।
অন্যদিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবীর দাবি, ২৪ ঘণ্টার নজরদারি থাকা সত্ত্বেও নির্ভুলভাবে এমন অপরাধ করা সম্ভব নয়। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, এই মামলায় আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সিবিআই তদন্ত এখনও অসম্পূর্ণ। সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এই মামলায় সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা হবে কিনা, তা নিয়ে এখন উন্মুখ হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। সোমবারের রায়ের দিকে তাকিয়ে নির্যাতিতার পরিবার ও সাধারণ মানুষ।