আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। ঘটনার তদন্ত করতে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন সব ফরেন্সিক মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, অস্থি, শল্য ও চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে এই বোর্ড গঠন করা হয়। সেই দলে ছিলেন মোট ১১ জন। সিবিআই এর কাছে বোর্ডের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে একটি রিপোর্ট। কি রয়েছে সেই রিপোর্টে?
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভোঁতা বস্তু প্রবেশ করানো হয়ে থাকতে পারে নির্যাতিতা ডাক্তারের যৌনাঙ্গে। অন্যদিকে নির্যাতিতার দেহে কোন বীর্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড। তবে সাদা ঘন চটচটে যে তরল পদার্থের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ থেকে? সেই পদার্থ তাহলে কি? এর উত্তর মেলার আগেই অবশ্য শনিবার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
নির্যাতিতার শরীরে পাওয়া ওই পদার্থ আসলে কি তা জানার জন্য রাসায়নিক বিশ্লেষণ করার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল সিএফএসএলে। অন্যদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিমেন পাওয়া গিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৫১ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়। অন্যদিকে পরবর্তী ক্ষেত্রে ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলা হয় ১৫১ গ্রাম ছিল নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ওজন। স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার দেহে কোন বীর্য মেলেনি।
ময়নতন্ত্রের রিপোর্টসহ বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা একটি মিটিং করেছিলেন। তারপর নিজেদের মতামত একটু রিপোর্ট আকারে জমা দিয়েছিলেন সিবিআইকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে জোরপূর্বক ভোতা কোন বস্তু কিংবা যৌনাঙ্গ ব্যতীত অন্য কোন অঙ্গ প্রবেশ করানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিতার দেহ থেকে ডিএনএ মিলে ছিল একজনের। সেই ডিএনএ নমুনাকে ‘কন্ট্যামিনেটেড’বলে আখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন ডক্টর সুবর্ণ গোস্বামী।