রবিবার হওয়া সত্ত্বেও ১৯ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশ সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিককে বান্দ্রা কোর্টে পেশ করে। অভিযুক্তের পরনে ছিল নীল শার্ট ও প্যান্ট, মুখ ঢাকা ছিল কালো কাপড়ে। তাকে ঘিরে ছিল পুলিশ।
পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। আট মাস আগে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বইয়ে আসেন তিনি। পরিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন এক এজেন্সির মাধ্যমে, যেখানে কোনো যাচাই-বাছাই হয়নি। ওই এজেন্সির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানিয়েছে, সে জানত না যে ওই বাড়িতে সইফ আলি খান থাকেন। তাকে শুধু বলা হয়েছিল, এই এলাকায় ধনী ব্যক্তিরাই বাস করেন। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি তিন টুকরো হয়ে গেছে, যার দুটি উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের পোশাক এবং ছুরির তৃতীয় টুকরো খুঁজছে পুলিশ।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি থানের হিরানন্দানি এলাকার একটি ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। শুকনো পাতার নিচে নিজেকে ঢেকে রাখলেও পুলিশের প্রায় ১০০ সদস্যের চেষ্টায় তাকে ধরে ফেলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতে প্রবেশের পদ্ধতি, পরিকল্পনা এবং অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না তা জানার চেষ্টা করা হবে। মহারাষ্ট্রের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং পুলিশ তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছে। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবে।