শিয়ালদা আদালতে আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়। বিচারক অনির্বাণ দাস প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩০২ (খুন), এবং ৩৭৫ (সহিংসতার মাধ্যমে ধর্ষণ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এই অপরাধের জন্য সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে আদালত জানিয়েছে।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। সিবিআই গত ৭ অক্টোবর দাখিল করা চার্জশিটে সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত করে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো পরিপূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।
সঞ্জয়ের বোন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেন, যদি অপরাধে অন্য কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “সঞ্জয় মদ খেত, তবে নারীঘটিত বিষয়ে কোনো অভিযোগ এর আগে শুনিনি। ওর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না, তাই ওর বর্তমান জীবন সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।”
সঞ্জয় আদালতে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। শনিবারও সে আদালতে বলে, “আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। আমি যদি ধর্ষণ করতাম, তাহলে মালা ছিঁড়ে যেত।” তবে বিচারক তার যুক্তি খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনার পরদিনই সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এখন সাজা ঘোষণা অপেক্ষমাণ। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।