দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক কড়া নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করার পাশাপাশি অভিবাসন নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নেন তিনি। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী নির্দেশে সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বন্ধ এবং মার্কিন সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
ট্রাম্পের আদেশে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এখন স্কুল ও চার্চে অভিযান চালানোর অনুমতি পেয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্যও সই করেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমেরিকা হু-কে অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ সাহায্য করছিল। চিন যেখানে মাত্র ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছিল, আমরা সেখানে ৫০০ মিলিয়ন দিচ্ছিলাম।”
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও আমেরিকা সরে এসেছে ট্রাম্পের নির্দেশে। এছাড়া ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫০০ জন সমর্থককে ক্ষমা করে ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
ট্রাম্প আসতেই ফেডারেল কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাতিল করে দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
তবে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। চিনা অ্যাপটি আগামী ৭৫ দিনের মধ্যে মার্কিন সংস্থার কাছে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাম্পের প্রশাসন নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের পরপরই এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ব রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে।