২০২৪ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে অভিষেক ম্যাচে ০ রানে আউট হয়েছিলেন। সেই সময় সকলেই বলেছিলেন, তান ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল। কিন্তু ঠিক তার একদিন পরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করে সমালোচকদের চুপ করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন ধরে তার ব্যাটের ধার ছিল না, ছিল না সেই শক্তি। তিনি ক্রমাগত ব্যর্থ হয়েছিলেন, আবারও যখন দলে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, বুধবার রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কথা হচ্ছে, অভিষেক শর্মাকে নিয়ে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে খেলা পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩২.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে ৭৯ রান করেন অভিষেক।
এদিনের ম্যাচে পাঁচটি চার ও আটটি ছক্কা হাঁকান অভিষেক। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে নিজের নামে অনেক রেকর্ড গড়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ওপেনার। অভিষেক ম্যাচে আটটি ছক্কা মেরেছিলেন যেখানে যুবরাজ ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছয়টি ছক্কা মেরেছিলেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক শর্মার একটি সেঞ্চুরি
থাকতে পারে , কিন্তু ৩৪ বলে ৭৯ রানের এই ইনিংসটি ছিল বিশেষ কিছু। অভিষেক শর্মার রানের ৮৬.০৭ শতাংশ এসেছে বাউন্ডারি থেকে। তাঁর থেকে এগিয়ে আছেন রোহিত শর্মা। ২০১৭ সালে ইন্দোরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০৮ বলে ১১৮ রান করেছিলেন রোহিত। সেবার ৯১.৫৩ শতাংশ রান এসেছিল ছক্কা ও চারে। অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে অবশ্য সব ধরনের শট ছিল। তিনি ফ্লিক, আপারকাট এবং সরাসরি বাউন্ডারিতে রান তোলেন।
পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট হারানোর পর, অভিষেক, আক্রমণাত্মক স্টাইলে ব্যাট করে, ৩৪ বলে আটটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মেরে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেন। যার ফলে ভারত ৪৩ রানের লক্ষ্য অর্জন করে। স্ট্রাইক রেটে খেলে অভিষেক তিলক ভার্মার (অপরাজিত ১৯) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। আদিল রশিদ ধারালো ফিরতি ক্যাচ ফেলে দিলে অভিষেক ২৯ রানে লাইফ পান। এদিকে প্রথম টি-টোয়েন্টি যাচ্ছে ৪৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতলে ভারতীয় দল। একই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।