টেসলা এবং স্পেস-এক্স-এর মতো কোম্পানির মালিক তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। এমন একজন ব্যক্তির জীবনধারা সম্পর্কে সবাই আগ্রহী। ইলন মাস্কের বয়স ৫৩ বছর। কিন্তু তাঁর ফিটনেস অসাধারণ। তবে হ্যাঁ, তাঁর ফিটনেস যে ঈশ্বরের উপহার তা কিন্তু নয়। বরং এই বয়সেও তরুণ ও ফিট থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন মাস্ক।
প্রতিদিনের রুটিনে তাঁর ডায়েট এবং ওয়ার্কআউটের সঙ্গে কখনোই আপোস করেন না টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। ঠিক এই কারণেই ৫৩ বছর বয়সেও তাঁর চেহারা ৪০এর গন্ডিতে থমকে গেছে। মাস্ক একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে, তিনি বিরতিহীন উপবাস অনুসরণ করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি প্রায় ৯ কেজি ওজন হ্রাস করেছিলেন।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের একটি প্রতিবেদনে একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, বিরতিহীন উপবাস ওজন বজায় রাখার এবং কিছু রোগ প্রতিরোধ করার একটি উপায়। আসুন জেনে নিই ইলন মাস্কের ডায়েট প্ল্যান এবং ওয়ার্কআউট রুটিন সম্পর্কে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইলন মাস্ক নিজের খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে খুবই কঠোর। দৈনন্দিন জীবনে বেশিরভাগ সাধারণ এবং ঘরে তৈরি খাবার খেতে পছন্দ করেন তিনি। তাঁর প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই মাংস, ফলমূল, শাকসবজি এবং শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত থাকে। কারণ সেগুলি খেতে পছন্দ করে মাস্ক। এ ছাড়া তিনি নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করেন।
ইলন মাস্ক যে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খান তা নয়, তিনি ডোনাট খেতেও ভালবাসেন। এছাড়াও তাঁর খাদ্য তালিকায় রয়েছে সুশি, কফি এবং ডায়েট কোক। ইলন মাস্ক এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, তিনি সাধারণত সকালের নাস্তা করেন না কারণ তাঁর সময় নেই। তিনি সকালে কফি পান করেন।
ফিট থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। ইলন মাস্কের ঘুমের চক্র সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তিনি সকাল ৭ টার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। কিন্তু সেরাত ১টার দিকে ঘুমাতে যান তিনি।
শুধু ডায়েট নয়, ওয়ার্কআউটও এলন মাস্কের ফিটনেসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিপোর্ট অনুসারে, তবে পেশীবহুল শরীর বজায় রাখার জন্য, ট্রেডমিলে দৌড়ানো এবং ভার উত্তোলন পছন্দ করেন ইলন।এছাড়াও, তিনি পুশআপস, পুলআপস, প্ল্যাঙ্ক এবং স্কোয়াটের মতো ব্যায়ামও করেন।