গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ এখন একেবারে বিনামূল্যে, কিন্তু লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারি করতে হলে কাটতে হচ্ছে টিকিট। মাত্র ২৫ টাকার টিকিটেই পর্যটকরা পাচ্ছেন অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা, যা কয়েক বছরে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ।
ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি বনাঞ্চলে গত দশ বছর ধরে চলছে জঙ্গল সাফারি। আগে পর্যটকরা নিজেদের গাড়িতে প্রবেশ করতে পারতেন, তবে বর্তমানে জিপসি সাফারিই একমাত্র অনুমোদিত ব্যবস্থা। বন দপ্তর সাফারি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে, যেখানে ৩৬ জন ইকো গাইড জঙ্গলের প্রাণী ও গাছপালার পরিচয় করিয়ে দেন পর্যটকদের সঙ্গে। গাইডের ভাড়া ৩৫০ টাকা, তবে সাফারির প্রবেশমূল্য একই রয়েছে—মাত্র ২৫ টাকা।
পর্যটকরা গোরুমারার প্রবেশ ফ্রি হওয়ার পর ভেবেছিলেন, লাটাগুড়িতেও হয়তো টিকিট লাগবে না। কিন্তু বন দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, এখানে সাফারির জন্য টিকিটের দরকার। যদিও এত কম দামে জঙ্গলে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে পর্যটকদের আপত্তি নেই বললেই চলে। লাটাগুড়ির রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, গোরুমারার মতো লাটাগুড়ির টিকিট তুলে নেওয়ার কোনও নির্দেশ আসেনি। তাই স্বল্পমূল্যেই পর্যটকদের সাফারি উপভোগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এত কম খরচে অসাধারণ অভিজ্ঞতা পাওয়ায় লাটাগুড়ির সাফারির চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। বিকেলের শিফটে টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা, কারণ তখন পর্যটকরা স্থানীয় আদিবাসী মহিলাদের নৃত্য উপভোগ করার সুযোগ পান। সব মিলিয়ে, লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারি এখন ডুয়ার্স ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।