আমেরিকানদের আরও ধনী করতে আয়কর বাতিলের প্রস্তাব দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে, আয়কর তুলে দিলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং নাগরিকরা সরাসরি লাভবান হবেন। সম্প্রতি এক রিপাবলিকান সভায় ট্রাম্প এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করা, বিদেশি সহায়তা কমানো, এবং আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ তাঁর “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির অংশ। এবার সেই ধারাবাহিকতায় আমেরিকানদের আয়করমুক্ত করার ভাবনাও সামনে আনলেন তিনি।
ট্রাম্প মনে করেন, আমেরিকার নাগরিকদের থেকে কর না নিয়ে বরং অন্যান্য দেশের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো উচিত। তাঁর ভাষায়, “আমাদের নাগরিকদের ধনী করতে হবে, অন্য দেশকে নয়। আমেরিকার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে, যদি আমরা বিদেশি পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক চাপাই।”
ট্রাম্পের এই নীতির প্রভাব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলোর প্রতি ট্রাম্প কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি এই দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রা ব্যবহার করে, তবে তাদের পণ্যের উপর ১০০% আমদানি শুল্ক বসানো হবে।
এছাড়া, সম্প্রতি কলম্বিয়ার সঙ্গে অভিবাসন ইস্যুতে সংঘাত তৈরি হলে ট্রাম্প সেদেশের পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেন। চাপে পড়ে কলম্বিয়া তাদের অভিবাসীদের ফেরত নিতে রাজি হয়।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আমেরিকার করব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে, যা দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।