বেশ অনেকদিন হয়ে গেল কলকাতা ছেড়েছেন প্রবীর দাস। যদিও মোহনবাগানকে কি এত সহজে ভোলা যায়? সবুজ মেরুন জার্সি পরে মাঠে নেমেছেন তিনি। যদিও বেঙ্গালুরু, কেরলের পর এখন মুম্বই সিটি এফসিতে রয়েছেন তিনি। কাজের সূত্রে সম্প্রতি কলকাতায় আসছিলেন প্রবীর। কলকাতায় আসার সময় মুম্বই বিমানবন্দরে প্রবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে গেল মোহনবাগান লেজেন্ড হোসে রামিরেজ ব্যারেটোর। একথা নিয়েই জানালেন প্রবীর। ব্যারেটোর সঙ্গে নিজের একটি সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। ক্যাপশন জুড়ে লেখা শুধুই আবেগ।
ব্যারেটোর সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে প্রবীর লিখলেন, “সময় টা প্রায় মাঝরাত.. ব্যক্তিগত কাজের জন্য কলকাতায় আসছি। ভাবিনি মুম্বই এয়ারপোর্টে এমন সময়ের মুখোমুখি হবো .. একাকি এয়ারপোর্টে বসে ফোন ঘাটতে ঘাটতে হটাৎ চোখে পরে কোঁকড়ানো চুলের সেই পরিচিত মুখকে।” ২০১৫ সালে প্রথমবার মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নামেন প্রবীর দাস। টানা ২০১৭ সাল পর্যন্ত খেলেন সেই ক্লাবেই। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চালু হওয়ার পর প্রথমে লোনে এবং পরে এটিকে-তে যান তিনি। ২০২০ সালে মোহনবাগান এবং এটিকের সংযুক্তিকরণ ঘটে। তখন ঘরের ছেলে ফেরে ঘরে। এরপর সেখানেই খেলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত।
ব্যারেটো, বহু ডার্বি জয় করেছেন মোহনবাগানের হয়ে। ৩৭১ ম্যাচে ২২৮টি গোল করেছেন সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে। তিনি নিঃসন্দেহে একজন কিংবদন্তি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ যেস্মরণীয় হবেই, তা তো বলাই বাহুল্য। ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করলেও নিয়মিত খেলায় চোখ রাখেন তিনি। তবে বিমানবন্দরে দেখা হওয়ার পর ব্যারেটো নিজেই চিনে নেন প্রবীরকে। পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। দেখে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এই বাঙালির রাইট-ব্যাক।
প্রবীর লেখেন, “আমি ওঁনার কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দিতে না দিতেই উনি আমাকে বললেন তুমি কি প্রবীর? আমি তোমাকে চিনি, আমি তোমার খেলা দেখেছি ও তোমার সোশ্যাল মিডিয়াও আমি ফলো করি। ওঁনার সাথে আমার প্রথম দেখা যে এতটা মনোরম হবে আমি ভাবতে পারিনি। আমি ওঁনার এই কথাটা শুনে অবাক হয়ে যাই আর ভাবতে থাকি তাঁর মানসিকতার পরিধি কতটা বড়। আর এই জন্যই হয়তো তিনি লক্ষ মানুষের নয়নের মনি।”এরপর দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা হয় দুজনের। কথার টপিক ছিল শুধুই হৃদয় জুড়ে মোহনবাগান।