আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি মামলায় তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে এবার আদালতের শো কজের মুখে পড়লেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিক মণীষ উপাধ্যায়। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা নির্দেশ দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে হবে, নইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান, সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডেসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমতি রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই দিয়েছে। মঙ্গলবার সেই অনুমতি মঞ্জুর হয়েছে। এই তথ্য শুনে ক্ষুব্ধ বিচারক প্রশ্ন করেন, কেন তিন দিন পার হয়ে গেলেও নিম্ন আদালতকে জানানো হয়নি, অথচ হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে? সিবিআই-এর আইও মণীষ উপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিষয়টি স্ক্রুটিনি করে দেখছি।” এতে আরও ক্ষিপ্ত হন বিচারক এবং লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগেও আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, তদন্তে গড়িমসি করছে সংস্থা। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সিবিআই-এর কয়েকজন আধিকারিকের ভূমিকা সন্দেহজনক। বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে জানানো হবে।”
এই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আদালতের নির্দেশের পর এখন সিবিআই কী জবাব দেয়, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।