সরস্বতী পুজো বন্ধ করার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যবাহী যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে একসময় পড়াশোনা করেছিলেন, সেই কলেজেই এবার সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলেজের শিক্ষার্থীরা কলকাতা পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তীর তৃণমূল পরিচালিত কলেজ কমিটির দুই শীর্ষনেতা—মালা রায় ও দেবাশিস কুমারের দিকেও।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। কলেজের শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হুমকি আমরা আগেই শুনেছি, এবার তা বাংলার কলেজেও দেখা যাচ্ছে। শুধু রাস্তায় ‘আনোয়ার শাহ’ নাম থাকায় সরস্বতী পুজো করা যাবে না! ইসলামি মৌলবাদীরা কলেজে ঢুকে ফতোয়া জারি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা এতটা সাহস পেল কোথায়?”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অভিযোগ অনুযায়ী, তৃণমূল ছাত্র নেতা সাব্বির আলি কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এমনকি, পুজোর আয়োজন করলে প্রাণে মেরে ফেলার ও ছাত্রীদের হেনস্তার হুমকি দেন তিনি। এই ঘটনায় চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষার্থীরা। সাব্বিরের বিরুদ্ধে আগেও গুন্ডাগিরির অভিযোগ উঠেছিল এবং হাইকোর্ট তাঁর কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে, সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি ফের কলেজ ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, কয়েকদিন আগেই নদিয়ার হরিণঘাটার একটি সরকারি স্কুলেও সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দি। শিক্ষকদের বদলির ভয় দেখিয়ে তিনি পুজো বন্ধ করতে বলেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনাগুলি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।