আজ সরস্বতী পুজো! তবে এই বছর সরস্বতী পূজো নিয়ে চরম বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল। কবে সরস্বতী পুজো হবে? সেই নিয়ে চলছিল জল্পনা। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ এবং আগামীকাল অর্থাৎ রবি এবং সোম দুই দিনেই সরস্বতী পুজো করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ পুজো হলো সরস্বতী পুজো। প্রতি বছরের মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে, বাগদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে আপামর জনসাধারণ।
মূলত সংগীত, শিক্ষা এবং কলার দেবী হলেন দেবী সরস্বতী। সেই কারণেই তো শিক্ষার্থীরা নিজেদের বই, খাতা, কলম সহ শিক্ষা সামগ্রী দেবী সরস্বতীর পায়ের কাছে রাখেন বিদ্যালভের আশায়। বাঙালি সমাজে আনন্দের উৎসব হলো সরস্বতী পুজো। কয়েকদিন আগে থাকতে পূজোর জোর কদমের প্রস্তুতি শুরু হয়। আর পুজোর দিন মানেই দেবীর আরাধনা, ভোগ নিবেদন, প্রসাদ গ্রহণ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে।
কিন্তু জানেন কি, মা সরস্বতী ঠিক কোন খাবারগুলি খেতে ভালোবাসেন? ‘পুলিঁড়ি’ এবং ‘খিচুড়ি’ হলো দেবী সরস্বতীর প্রিয় খাবার। তবে বাঙালিরা মা সরস্বতীর জন্য আরো বিশেষ কিছু ভোগের আয়োজন করে থাকেন। দেখে নেওয়া যাক সেই ভোগের তালিকা…
প্রথমত, পুলিঁড়ি: চাল, ডাল এবং নারকেল দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার হল পুলিঁড়ি। বাগদেবীর আরাধনার দিনে দেবী সরস্বতীকে নিবেদন করা হয় এই খাবার। কেউ কেউ আবার তৈরি করার সময় তাতে কিছু মিষ্টি যোগ করে থাকেন। যদিও বাঙালিদের মধ্যে খুব একটা জনপ্রিয় খাবার নয় পুলিঁড়ি।
২. খিচুড়ি: মূলত চাল, ডাল, মশলা ও তেল সহযোগে তৈরি ভোগ হল খিচুড়ি। এটি মা সরস্বতীর খুবই পছন্দের ভোগ। শুধু তাই নয়, বাঙ্গালীদের খাবার হিসেবে খিচুড়ি বেশ জনপ্রিয়। সরস্বতী পুজোর সঙ্গেও এই খাবার খুবই চলনসই।
৩. মিষ্টান্ন: খিচুড়ি ছাড়াও দেবী সরস্বতীর বিশেষ ভোগের মধ্যে রয়েছে মিষ্টান্ন বা মিষ্টি। সাধারণত সন্দেশ জাতীয় মিষ্টির পাশাপাশি কদমা, বাতাসাও নিবেদন করা হয়ে থাকে বাগদেবীর আরাধনায়। বিশেষ করে দেবী সরস্বতীকে পায়েস এবং সন্দেশ নিবেদন করা হয়।
দেবী সরস্বতীর এই পছন্দের ভোগ দেবীর আরাধনার সময়কালে উৎসর্গ করা হয় শ্রদ্ধা এবং ভক্তি ভরে।