বলিউডের তারকা দম্পতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ১১ বছর বয়সী কন্যা আরাধ্যা বচ্চন সম্প্রতি নিজের সম্পর্কে ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানোর অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। একটি ইউটিউব চ্যানেল আরাধ্যার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায়, তিনি এই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরাধ্যার পক্ষে দায়ের করা পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ইউটিউব চ্যানেলটি তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করেছে, যা তার এবং তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়ানো নাবালিকা আরাধ্যার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে, সংশ্লিষ্ট ভিডিওগুলি অবিলম্বে অপসারণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এই মামলার শুনানি ২০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে দিল্লি হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি সি হরিশঙ্করের একক বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি করেন। বিচারপতি উল্লেখ করেন, নাবালিকাদের সম্পর্কে ভুয়ো খবর প্রচার করা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি সংশ্লিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলকে অবিলম্বে ওই ভিডিওগুলি অপসারণের নির্দেশ দেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
আরাধ্যার মা, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, এই প্রসঙ্গে বলেন, ভিত্তিহীন খবর মানুষকে মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত করে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
উল্লেখ্য, আরাধ্যা বচ্চন মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারকা পরিবারের সদস্য হওয়ায় জন্ম থেকেই তিনি জনসাধারণের নজরে রয়েছেন। তবে, তার পরিবার সবসময়ই চেয়েছে যে, আরাধ্যা স্বাভাবিক শৈশব উপভোগ করুক এবং মিথ্যা খবর বা ট্রোলিং থেকে দূরে থাকুক।
এই ঘটনার পর, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবর প্রচার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নাবালিকাদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো আইনত অপরাধ এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, সকলের উচিত এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা এবং সঠিক তথ্য প্রচারে মনোযোগী হওয়া।