দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর ভোটগ্রহণ আগামীকাল, ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ৭০টি আসনের এই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), এবং কংগ্রেস।
দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস, শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শাসন করেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে একটিও আসন জিততে না পারায়।
এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস নতুন উদ্যমে প্রচার চালাচ্ছে। দলটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বিশেষ করে দলিত ও সংখ্যালঘু ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কংগ্রেস বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আপ, যারা পরপর দুইবার দিল্লির ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের নির্বাচনী স্লোগান ‘ফির লায়েঙ্গে কেজরিওয়াল’ দিয়ে তারা আবারও ক্ষমতায় আসার আশা করছে।
অন্যদিকে, বিজেপি ‘বদলকে রহেঙ্গে’ স্লোগান নিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে। তারা আপ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রচার চালাচ্ছে। তবে দিল্লির বিধানসভায় গত ২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় আসতে না পারায় তাদের জন্য এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
কংগ্রেসের নেতারা বিশ্বাস করেন, দিল্লির জনগণ তাদের অতীতের সাফল্য এবং বর্তমান প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আবারও সমর্থন জানাবে। তারা আশা করছেন, এই নির্বাচনে ভালো ফলাফল করে দিল্লির রাজনীতিতে পুনরায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
আগামীকাল ভোটগ্রহণ শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল প্রকাশিত হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত দিল্লির রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ জনগণ অপেক্ষায় থাকবে, কে হবে আগামী দিনের দিল্লির শাসক।