শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে শুরু হয় একের পর এক সমস্যা—গাঁটে ব্যথা, হাঁটু ফুলে যাওয়া, বাতের কষ্ট। শুরুতে হয়তো খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, কিন্তু জানেন কি? চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে তা কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে! তাই এখনই সাবধান হওয়ার সময়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়া ডায়েটের পাশাপাশি কিছু সহজ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললেই এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিয়মিত মাত্র তিনটি ফল খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীরে হবে ম্যাজিকের মতো উপকার!
কোন তিনটি ফল খেলে কমবে ইউরিক অ্যাসিড?
চেরি— ব্যথা কমাবে, অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আনবে।
ছোট হলেও চেরি কিন্তু দারুণ উপকারী। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরের প্রদাহ কমিয়ে দ্রুত ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চেরি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এছাড়াও, এটি গাউট বা বাতজনিত ব্যথা কমাতেও কার্যকর।
২. লেবু— ভিটামিন সি-এর শক্তিতে অ্যাসিড হবে ছুট।
ভিটামিন সি হল ইউরিক অ্যাসিডের সবচেয়ে বড় শত্রু। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকলে ইউরিক অ্যাসিড জমতে পারে না, ফলে সহজেই তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন পাতিলেবু, কমলালেবু কিংবা মোসাম্বি। সকালে লেবু-পানি খেলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
৩. আপেল— রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে কমাবে অ্যাসিডও
আপেল শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপেলে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা কিডনির সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।
সকালে এই তিনটি ফল খেলেই মিলবে উপকার।
এই তিনটি ফলই শক্তিশালী প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে, যা শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। তাই সকালের নাশতায় নিয়মিত এই ফলগুলি রাখুন, দেখবেন উপকার মিলবে ম্যাজিকের মতো!
তবে মনে রাখবেন, শুধুমাত্র ফল খেলেই সমস্যা দূর হবে না। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করাও প্রয়োজন। বিশেষত, যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।