ঢাকার বুকে অশান্তির আগুন। ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সরকার। অভিযোগের তির শেখ হাসিনার দিকে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে নতুন এক প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে। তাদের দাবি, ভারতে বসে যেন হাসিনা ‘মিথ্যে ও মনগড়া’ বক্তব্য না দেন। আর সেই আবহেই এবার সংসদের উচ্চকক্ষে উঠল হাসিনা ইস্যু।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেরলের সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস জানতে চান, বাংলাদেশ কি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে? কোন কারণে তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে? ভারত কি হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দেবে? জবাব দেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ। তিনি জানান, ৫ আগস্ট হাসিনা ভারতে আসার পর, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অপরাধের প্রেক্ষিতে তার প্রত্যর্পণ চেয়েছে ঢাকা। তবে এই বিষয়ে এখনও বাংলাদেশকে কোনও উত্তর দেয়নি মোদী সরকার।
এর আগে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর তার সরকারের বহু মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন, কেউবা গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে গত দুই দিনে বাংলাদেশজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় হাসিনাকেই দায়ী করেছে ইউনুসের সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ। অভিযোগ, ভারতে বসে হাসিনা যে ভাষণ দিচ্ছেন, তা বাংলাদেশ-বিরোধী।
ঢাকা সরকার জানিয়েছে, জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে কথা বলে, নিহতদের অপমান করে এবং বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে হাসিনা দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়াচ্ছেন। এখন প্রশ্ন, মোদী সরকার কি হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দেবে? আপাতত সেই জবাব ঝুলিয়ে রেখেছে দিল্লি।