দলের সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এবার থেকে মণ্ডল সভাপতির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর এবং রাজ্য কমিটিতে ৭০ বছরের বেশি বয়সী কেউ থাকতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি তরুণদের হাতেই সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে বিজেপি?
বিজেপির অন্দরমহলের খবর, রাজ্যে নিচুতলার সংগঠন ঢেলে সাজানোর আগে দলের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, সভাপতি যদি সংগঠন গঠনে অংশ না নেন, তাহলে কার্যত তিনি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন কীভাবে? এই বিরোধিতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কানেও পৌঁছয়, ফলে আপাতত নিচুতলার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যাঁদের নাম রাজ্য নেতৃত্ব বাছাই করেছে, তাঁদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং নতুন রাজ্য সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। এর ফলে খুব শীঘ্রই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে দলের একাংশ।
উল্লেখ্য, সিপিআই(এম) ইতিমধ্যেই তরুণ নেতৃত্বের দিকে ঝুঁকছে। কমিটিগুলিতে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে তারা। তাই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিও কি সিপিআই(এম)-এর পথেই হাঁটছে?
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, দিল্লিতে নতুন সরকার গঠনের পরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করা হবে। এরপর রাজ্য বিজেপির সভাপতির নামও প্রকাশ করা হতে পারে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধ গড়াতে পারে।
তবে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। তাই সংগঠন ও নেতৃত্ব বদলের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে এখনও সময় লাগবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।