দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের কৌশল নির্ভর করত সামরিক বাহিনীর শক্তি, প্রযুক্তি ও কৌশলগত অবস্থানের ওপর। তবে ২১শ শতকে যুদ্ধের চেহারা বদলে দিচ্ছে ড্রোন প্রযুক্তি। ভারতও পিছিয়ে নেই। বিশ্বজুড়ে সামরিক ড্রোন শক্তির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মাঝে এবার ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ হিসেবে এই ক্ষমতা অর্জন করল।
প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধ ড্রোন তৈরিতে সফল হয়েছে। সম্প্রতি সফল পরীক্ষার পর এই ড্রোনগুলি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারত শুধু সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করল না, ভবিষ্যতের যুদ্ধনীতিতেও বড় পরিবর্তন আনল।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ইজরায়েল ও তুরস্কের মতো দেশগুলি অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ভারত এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ড্রোনগুলি সীমান্ত নজরদারি, টার্গেট নির্ণয় ও সুনির্দিষ্ট আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হবে। ফলে ভবিষ্যতে সীমান্ত সংঘর্ষ বা সন্ত্রাস দমনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি আমাদের প্রতিরক্ষা কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনবে। ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই প্রধান ভূমিকা নেবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও আধুনিক ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
ভারতের এই উন্নয়ন বৈশ্বিক রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। কারণ, সামরিক শক্তির পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও এই প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এখন দেখার, ভারতের এই নতুন ড্রোন শক্তি ভবিষ্যতের যুদ্ধনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।