নদিয়ার কল্যাণীতে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে ঘটল আরও এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ! রবিবার সন্ধ্যায় বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চেঁচুড়গ্রামের এক ‘পোড়ো’ বাড়ি। মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে যায় ওই বাড়ির শৌচালয়। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সন্ধ্যার দিকে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। প্রথমে কেউই বুঝতে পারেননি কী ঘটেছে। পরে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পাশের বাড়ির ছাদের অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাগ্যিস, বিস্ফোরণের সময় সেখানে কেউ ছিলেন না, না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়িটি অন্তত ১৫-১৬ বছর ধরে খালি পড়ে রয়েছে। বাড়ির মালিক কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তাই দীর্ঘদিন ধরে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। গ্রামবাসীদের সন্দেহ, হয়তো এই বাড়িটিকে গোপনে বোমা মজুতের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কেউ অলক্ষ্যে বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছিল, যা আচমকাই ফেটে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাটোয়া মহকুমা পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রী জানিয়েছেন, যেহেতু বাড়ির মালিকরা সেখানে থাকেন না, তাই পুলিশই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করবে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, পুলিশকে দ্রুত তদন্ত করে জানাতে হবে, এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা রয়েছে! কারণ, এত বড় বিস্ফোরণ নিছক দুর্ঘটনা হতে পারে না। আতঙ্কের মেঘ ঘিরে রয়েছে কেতুগ্রামকে।