ঠিক ছ’মাস আগে যে ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা বাংলা, আজও তার ক্ষত শুকোয়নি। আজ তিলোত্তমার জন্মদিন। যদি বেঁচে থাকতেন, ৩২ বছরে পা দিতেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনাটাই শেষ হয়ে গেছে। তিলোত্তমা কাণ্ডের রায়দানের পরও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন রয়ে গেছে। এই অনুভূতি নিয়েই TV9 বাংলার স্টুডিওতে এসে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
নারী হিসেবে তিনি সেই যন্ত্রণা অনুভব করেছেন, স্বীকার করলেন নিজেই। “প্রতিদিন কাঁদতাম, ভাবতাম, এটা কী হল? আমি রাস্তায় নেমেছিলাম, নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করিনি। যা মনে হয়েছে, বলেছি,” জানালেন সোহিনী। কিন্তু তাঁর কথা বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে, অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী।
তিলোত্তমা কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আজীবন কারাদণ্ড পেলেও নির্যাতিতার বাবা-মা, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থামেনি। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য— শুধু সাজা দিলেই দায় শেষ হয় না, সমাজের মানসিকতা বদলানো জরুরি।
সোহিনী জানালেন, আন্দোলনের সময় তিনি বুঝেছিলেন, অনেক অদৃশ্য এজেন্ডা রয়েছে, যা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। “আমার খুব একা লাগত, অসহায় লাগত। শুনেছি, স্বাধীনতা দিবসের সময় ঘটে যাওয়া কিছু অসম্মানের বিচার আজও হয়নি। এটাই বাস্তবতা। আমরা সবাই টিকে থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু সবটা ভুলে যাওয়া যায় না,” বললেন তিনি।
তিলোত্তমার পরিবার আজও তাঁদের মেয়ের জন্য সুবিচার চায়। তাঁদের মতে, শুধু এক ব্যক্তির শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। অপরাধের শিকড় উপড়ে ফেলার প্রয়োজন। তিলোত্তমার জন্মদিনে তাই শুধু শূন্যতা নয়, রয়ে গেল এক কঠিন প্রশ্ন— এই সমাজ কবে বদলাবে?