ভারতীয় সেনাকে অপমানের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সমন জারি করল লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালত। অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৪ মার্চ তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।
২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনা নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী বিবেক তিওয়ারি। এই অভিযোগ ওঠে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তবের হয়ে। মামলাকারীর দাবি, ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভারত-চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পরে, ১৬ ডিসেম্বর রাহুল ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এ কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুধু এই মামলা নয়, গতকালও উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির আরেকটি মামলার শুনানি হয়। ২০১৮ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি, যার ভিত্তিতে মামলা হয়েছিল। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি হবে, যেখানে অভিযোগকারীকে প্রাসঙ্গিক প্রমাণ জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগেও মানহানির অভিযোগে চরম বিপাকে পড়েছিলেন রাহুল। ২০২৩ সালের মার্চে সুরাট আদালত মোদী পদবি নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই রায়ের ফলে সাংসদ পদও হারান তিনি। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে স্বস্তি মেলে।
এবার ফের সেনা নিয়ে মন্তব্যের জন্য নতুন করে আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক মানহানির মামলার কবলে পড়ে কি রাহুলের ভাবমূর্তিতে বড়সড় ধাক্কা লাগছে?