ঢাকা জ্বলছে, সংখ্যালঘুরা কাঁপছে! রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার রিপোর্ট ফের সামনে আনল বাংলাদেশের ভয়াবহ বাস্তবতা। ৫২ নম্বর পাতায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে—৪ অগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচার হয়েছে। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, সাংবাদিক হত্যা—সবটাই উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে ১৪০০-র বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছেন হাজার হাজার। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ রক্তাক্ত হয়েছেন। আওয়ামি লীগ সরকারের সময় ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার, গণহত্যার তথ্য যেমন সামনে এসেছে, তেমনই ইউনূস প্রশাসনের অধীনে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টিও স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ব মঞ্চে ইউনূস সরকারের মুখোশ খুলে দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার মব জাস্টিস রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়েছে।
ইসকনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এই রিপোর্ট সামনে আসার পর বলেন, গত ৭-৮ মাস ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে, তা ভয়ংকর। বহু মানুষ খুন হয়েছেন, ধর্ষিতা হয়েছেন, তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে আমেরিকার সেনেট পর্যন্ত এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবার এই নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট যে ইউনূস প্রশাসনের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংখ্যালঘুদের উপর এই নিপীড়ন রুখতে কি এবার কোনও পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সরকার? নাকি আরও গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাবে মানবাধিকার?