মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের পরই বাংলাদেশের প্রশাসনিক মহলে তোলপাড়! কারণ, ট্রাম্পের এক কথাতেই কেঁপে উঠেছে ঢাকা। বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ট্রাম্পের একটি বাক্য— “মোদী বুঝে নেবেন”। কিন্তু কী বুঝে নেবেন মোদী? আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে নয়াদিল্লি বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হিন্দু নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক হামলা এবং হাসিনা সরকারের নীতিগত দুর্বলতা নিয়ে ভারত যে সন্তুষ্ট নয়, তা স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মোদীর ওপর আস্থা প্রকাশ ঢাকার জন্য অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, ট্রাম্পের বক্তব্যের পরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নড়েচড়ে বসেছেন ইউনূস সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তাঁরা এখন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপদেশ দিচ্ছেন সরকারকে। কিছু মহলের মতে, ভারতের কাছ থেকে সমঝোতা চাইতে পারে বাংলাদেশ।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু ট্রাম্পের মন্তব্যই নয়, ঢাকার টনক নড়ার পেছনে রয়েছে আরও কারণ। সম্প্রতি, আমেরিকা ভারতকে উন্নত যুদ্ধবিমান ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ফলে আঞ্চলিক শক্তির সমীকরণ বদলাতে চলেছে।
এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক আলোচনা নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখন সময়ই বলবে!