মঞ্চ আছে, সৈন্যও আছে—শুধু সেনাপতিকে যেন নির্বাসন দেওয়া হয়েছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অথচ চেয়ারের দখল তার হাতে নেই। চেয়ার থেকে যেন এক অলিখিত দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন তিনি। আর মমতা? খোলাখুলিই বলে দিচ্ছেন, দল এবং চেয়ার দুটোই আমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে!
তাহলে কি সত্যিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল নামমাত্র সেনাপতি? দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্দার আড়ালে কি তার ভূমিকা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ? একসময় অভিষেককে মমতার উত্তরসূরি হিসেবে দেখানো হলেও, বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে এখনো একক ভাবে মমতাই। তিনি সামনে থাকলে, অভিষেক যেন থেকে যান কেবল ছায়াসঙ্গী হয়ে।
রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। কেউ বলছেন, মমতা নিজের পরবর্তী উত্তরসূরিকে তৈরি করছেন, তাই এই ধৈর্যের পরীক্ষা। আবার কেউ বলছেন, অভিষেক আদতে ‘নির্বাসিত সেনাপতি’, যার হাতে দলের ভার থাকা সত্ত্বেও সিদ্ধান্তের চাবিকাঠি নেই। তিনি কি আদৌ সেনাপতি, নাকি নিছক এক সৈনিক, যিনি ছায়ার মতো চলবেন কিন্তু রাশ টানার সুযোগ পাবেন না?
এদিকে বিরোধীরা কটাক্ষ করছে—দল সামলানোর ক্ষমতা কি অভিষেকের নেই? নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন, ক্ষমতার ভার তিনি ছাড়লে খেলাটা অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে? প্রশ্ন অনেক, উত্তর সময় দেবে। তবে তৃণমূলের অন্দরে এই চাপা দ্বন্দ্ব যে ভবিষ্যতে বড় বিস্ফোরণের দিকে এগোচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য!