বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রবিবার এক আলোচনাসভায় দাবি করলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে যায়, তাহলে তিনি অবাক হবেন না। কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে দোষারোপ করেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলাদেশে যা চলছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হয় না। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের বিভিন্ন সরকারি পদ থেকে সরানো হচ্ছে, এমনকি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য পর্যন্ত গায়েব হয়ে গেছে।” তিনি দাবি করেন, চট্টগ্রামে গান্ধীজির স্মারক ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা অস্বীকার করার জন্য তার নামে থাকা একটি লাইব্রেরি ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কার্যত পাকিস্তানের হাতেই চলে যাচ্ছে। সেখানে জামাতের লোকজন ক্ষমতায় রয়েছে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত গোটা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং সবক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছেন।”
শুভেন্দুর বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার আওয়ামি লীগের শীর্ষ নেতাদের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে এবং যারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের ভারতীয় সরকার যেন শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন, “যারা আওয়ামি লীগ করার অপরাধে বা হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছে, তাদের যেন জেলে না পোরা হয়।”
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যদি এই প্রবণতা বন্ধ না হয়, তাহলে একদিন হুট করেই বাংলাদেশের পার্লামেন্ট ঘোষণা করবে যে বিভাজন ছিল ভুল, এবং তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ চায়।”