ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন জ্ঞানেশ কুমার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার গভীর রাতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর নিয়োগের ঘোষণা করেন। নতুন আইন অনুসারে নিযুক্ত প্রথম সিইসি হলেন তিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচনসহ ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটও পরিচালনা করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটিতে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত সিইসি নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি তুললেও, সরকার তাঁর মত উপেক্ষা করে জ্ঞানেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে। তাঁর মেয়াদ ২৬ জানুয়ারি ২০২৯ পর্যন্ত।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় জন্ম নেওয়া জ্ঞানেশ কুমার ১৯৮৮ ব্যাচের কেরালা ক্যাডারের আইএএস অফিসার। তিনি আইআইটি কানপুর থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কেরালার বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ সামলানোর পর, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রকে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা নেন তিনি।
জ্ঞানেশ কুমার ছিলেন অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির সদস্য। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি শ্রী রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টেও ছিলেন। এমনকি রাম মন্দিরে ভগবান রামের শিশুরূপের মূর্তি নির্বাচনের জুরিতেও তাঁকে দেখা যায়।
একইসঙ্গে, নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্য সচিব বিবেক যোশী। তিনি ১৯৮৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার। তাঁর মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত থাকবে।
আগামী নির্বাচনে বিরোধীরা সরকারের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, জ্ঞানেশ কুমারের রাম মন্দির প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি বিরোধীদের আক্রমণের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।