মহাকুম্ভে ব্যাপক যাত্রীর ভিড়ের কারণে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল মন্ত্রক। দেশজুড়ে ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে প্রয়াগরাজগামী ট্রেনগুলোর জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে।
এই স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনে ওঠানো-নামানোর জন্য ‘হোল্ডিং জ়োন’ তৈরি করা হবে। দড়ি ও ব্যারিকেড দিয়ে আলাদা পথ নির্ধারণ করা হবে, যাতে যাত্রীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি না হয়। বিভিন্ন রঙের ‘এনক্লোজ়ার’ থাকবে, যা স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথগুলোকে সুসংহতভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। ট্রেনের আসন অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিতে স্টেশন চত্বরে তীর চিহ্ন ও ডিভাইডার বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
প্রয়াগরাজগামী ট্রেন পরিচালিত হয় যে ৩৫টি স্টেশন থেকে, সেগুলিতে একটি বিশেষ ‘সেন্ট্রালাইজড রিয়েল-টাইম ওয়ার রুম’ খোলার ভাবনা চলছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কুম্ভমেলার সময় অধিকাংশ পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা রাজ্যগুলো থেকে আসেন। তাই সেখানকার স্টেশনগুলোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে তদন্তে উঠে এসেছে নতুন তথ্য, যেখানে দেখা গেছে শনিবার রাতের দুর্ঘটনার সময় নতুন দিল্লি স্টেশনের ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল ছিল। ফলে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রেল মন্ত্রক দিল্লি থেকে বিভিন্ন রেল জ়োনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে এবং স্টেশনে নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের আরও কার্যকর উপায় খুঁজবে।