সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে বিজেপি দলের শীর্ষ নেতারা একত্রিত হন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃবৃন্দ। উত্তরবঙ্গের অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
তবে, বৈঠকের মূল আলোচনার পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে মতানৈক্যের বিষয়টিও উঠে আসে। দলের একাংশের মতে, এই মতানৈক্য দলের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং সংগঠনের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এ প্রসঙ্গে, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, শুভেন্দু যদি ওই সময়ে মিছিলে উপস্থিত থাকেন, তা হলে তাঁর পক্ষে মিটিংয়ে থাকা সম্ভব নয়। এখন দল বড় হয়েছে। ফলে একজন শীর্ষ নেতাকে সব সময়ে জনসংযোগ কর্মসূচিতে থাকতেই হবে।
দলের অভ্যন্তরীণ এই মতানৈক্য মেটাতে এবং উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন করতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করেন। তিনি শঙ্কর ঘোষকে উদ্যোগী হয়ে দলের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন।
এদিকে, দিল্লির সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দেন। তিনি বলেন, “দিল্লি যদি ২৭ বছর পরে পরিবর্তন করতে পারে, বাংলাকেও আপনারা পরিবর্তন করতে পারেন।
তবে, দিল্লির নির্বাচনে বাংলার বিজেপি নেতাদের প্রচেষ্টার কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপির নেতারা যদি বলেন দিল্লিতে প্রচার করেছি, তাই বাঙালি এলাকায় জয় এসেছে, তা হলে এঁরা তো ঝাড়খণ্ডের বাঙালি এলাকাতেও প্রচার করেছেন। সেখানে তো বিজেপি হেরেছে!
উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও দলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিল্লির এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।