বর্তমান সমাজে মানসিক চাপ, হতাশা এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও পেশাগত সমস্যার কারণে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন, যা প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজনের সমান। ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) ২০২০ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় ১.৩৯ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক সমর্থন ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো সম্ভব। পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও হেল্পলাইনের মাধ্যমে পেশাদার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
ভারতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে, সমাজের সকল স্তরে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
অতএব, কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার চিন্তা না করে মানসিক সমর্থন ও পেশাদার সহায়তা গ্রহণ করা উচিত। সমাজের সকলের উচিত মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা, যাতে কেউই একা অনুভব না করে এবং আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয়।