ভারতে ভোটের হার বাড়ানোর জন্য কেন আমেরিকার ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হলো—এই প্রশ্ন তুললেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ওরা অন্য কাউকে ভোটে জেতাতে চাইছিল। আমাদের ভারত সরকারকে এই বিষয়ে জানাতে হবে।”
সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মার্কিন সরকার ইউএসএইডের মাধ্যমে ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের হার বৃদ্ধি করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন একটি সংস্থা এই তথ্য প্রকাশ করে, যার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই খরচ বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মাস্ক।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপিও সরব হয়েছে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এটিকে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি দাবি করেছেন, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টির সঙ্গে ইউএসএইডের ভারতীয় প্রধান বীণা রেড্ডি এই বিষয়ে কাজ করতেন এবং প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন নির্দেশ দিতেন।
এর আগে, ফরাসি সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্টের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, জর্জ সোরোসের মতো ব্যক্তি ভারত সম্পর্কে ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছেন। বাইডেন সরকারের আমলে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও বিজেপির দাবি। তবে সেই সময় মার্কিন দূতাবাস এই অভিযোগ খারিজ করেছিল।