বছরের শেষভাগ থেকে সীমান্তে অশান্তির পারদ চড়ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎপাত থেকে মৌলবাদীদের ভারতের বিভিন্ন অংশ দখলের হুমকি—সবকিছুই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তবে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ তথ্য। ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি পশ্চিমবঙ্গে শিকড় মজবুত করছে। এখন নতুন উদ্বেগের কারণ মাওবাদীরা। ছত্তীসগঢ়ে যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চলছে, তখন বাংলায় মাওবাদী কার্যকলাপ ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সাম্প্রতিক কলকাতা সফর এই আশঙ্কাকেই আরও দৃঢ় করছে। ২৮টি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত মাল্টি এজেন্সি সেন্টারের বৈঠকের আগেই তিনি শীর্ষ গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সূত্রের খবর, আনসারুল্লা বাংলা টিম এবং জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের মতো সংগঠনগুলি বাংলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই অসম ও বাংলায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম। প্রশ্ন উঠছে, স্থানীয় স্তরে কারা এদের সাহায্য করছে?
গোয়েন্দাদের ধারণা, বাংলাকে আইএসআই-এর ট্রানজিট করিডর হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অবৈধ মাদ্রাসা এবং কিছু সামাজিক সংগঠনের কার্যকলাপ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আনসারুল্লার স্লিপার সেলগুলি সক্রিয় হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। শীর্ষ মাওবাদী নেতারা বাংলায় লুকিয়ে থাকতে পারে বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ। সম্প্রতি ইন্দ্রবতী অরণ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে ৩১ জন মাওবাদী। ধৃতদের মধ্যে এক নেতার কলকাতায় দীর্ঘদিন থাকার তথ্য মিলেছে। অনুমান, অন্যান্য শীর্ষ মাওবাদী নেতারাও বাংলায় আশ্রয় নিয়েছে।
অজিত দোভালের সফর এবং আসন্ন গোয়েন্দা বৈঠকের আগে কেন্দ্র বিশেষ সতর্ক। বাংলা কি সত্যিই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে উঠছে? নাকি নিরাপত্তা বাহিনী এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে?