জামশেদপুরের বিষ্ণপুরে প্রকাশ্য গুলি চালিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে শিবম ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী যখন হতবাক, তখনই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের গন্তব্য ছিল ঘাটশিলা। সেখান থেকে ট্রেনে সাঁতরাগাছি পৌঁছে, অ্যাপ-ক্যাব বুক করে রওনা দেয় সাঁপুরজি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
তবে তাদের কপালে দুর্ভাগ্য ছিল। ট্যাক্সি চালকের সন্দেহ হওয়ায় গোটা ছক ভেস্তে যায়। ট্যাক্সি চালক লক্ষ্য করেন, যাত্রীদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা রয়েছে এবং তারা ঘনঘন ফোনে কিছু গোপন আলোচনা করছে। পরিস্থিতি আঁচ করে চালক দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পুলিশ অ্যাপ-ক্যাবের অবস্থান ট্র্যাক করে প্রগতি ময়দান থানার সামনে তাদের গাড়ি থামায় এবং মহম্মদ আসিফ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এরপরেও আরও তিনজন পালিয়ে যায়। কিন্তু বেশিক্ষণ লুকিয়ে থাকা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মনোজ বারিক ও বিশাল বারিক নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, চিংড়িহাটায় ধাওয়া খেয়ে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিল, তবে শেষরক্ষা হয়নি।
এই মুহূর্তে পুলিশের নজর চতুর্থ অভিযুক্তের দিকে, যে এখনও পলাতক। তাকে ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এই খুনের পেছনে পূর্বশত্রুতার যোগ থাকতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারি নিয়ে জামশেদপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।