নদিয়ার থানাপাড়া থেকে জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার হলেন বিপ্লব বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। তদন্তে উঠে আসছে ভয়াবহ তথ্য—জেলের ভেতরেই ধর্মান্তকরণ ঘটিয়ে তরুণদের জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত করা হচ্ছে! এসটিএফ-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য তারিকুল ইসলাম বহরমপুর জেল থেকেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল তারিকুল। সেই থেকে জেলের মধ্যেই জঙ্গি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে সে। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন হয়ে পড়ায়, জেলকেই নতুন ঘাঁটি বানিয়েছে এই কুখ্যাত জঙ্গি। অভিযোগ, জেলের ভেতরে তরুণ বন্দিদের মগজধোলাই করা হয়, তারপর ধর্মান্তরিত করে তৈরি করা হয় জঙ্গি। বিপ্লব বিশ্বাসও তারিকুলের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। ধর্মান্তরের পর ‘আব্দুল’ নাম নিয়ে এবিটি (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।
তদন্তে আরও জানা গেছে, শুধু বিপ্লব নয়, আরও তিনজন বন্দির ধর্মান্তকরণ করেছে তারিকুল। বিশেষ তদন্তকারী দলের দাবি, এভাবে ক্রমশ জেলে বসেই জঙ্গি তৈরি করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মূল লক্ষ্য জেলের ভেতরেই কট্টরপন্থী গোষ্ঠী তৈরি করা।
২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জায়গায় আত্মগোপন করেছিল তারিকুল। তখন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের সঙ্গে মিলে কাজ করছিল সে। অবশেষে ২০১৫ সালে এনআইএ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু জেলে বসেও তার কার্যকলাপ থামেনি। প্রশ্ন উঠছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে জঙ্গিরা এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে? তদন্তকারীরা মনে করছেন, জেলের ভেতরে আরও বিস্তৃত তদন্ত চালানো প্রয়োজন।