চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে হেরে কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। অন্যদিকে, ভারত ও নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। গ্রুপ এ-তে এখনো প্রতিটি দলের দুটি করে ম্যাচ বাকি থাকায় সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চাপে পড়ে গেছে। বিশেষ করে তাদের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কারণ ডট বল বেশি খেলে তারা রানের গতি কমিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে, ভারতের কাছে হারের পর বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভারত যেখানে তিন স্পিনার নিয়ে বাজিমাত করেছে, সেখানে বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে খেলায় কৌশলগত ভুল করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্ব থেকে শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে যাবে। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য বাকি ম্যাচগুলো হয়ে উঠেছে জীবন-মরণ লড়াই। এখন সেমিফাইনালে যেতে হলে তাদের অবশ্যই ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।
বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার সহজতম পথ হলো, বাকি দুটি ম্যাচে জয় পাওয়া। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারলেই তাদের সেমিফাইনালের রাস্তা পরিষ্কার হবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একইভাবে, ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়া পাকিস্তানের পক্ষেও সহজ হবে না।
যদি বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ জিততে না পারে, তাহলে অন্তত একটি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে। এর মানে, পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো রান রেটে জয় নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে, পাকিস্তানকেও ভারত বা বাংলাদেশের বিপক্ষে অন্তত একটি বড় জয় পেতে হবে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলের ওপরও নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভাগ্য। যদি পাকিস্তান ভারতের কাছে হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ বাড়বে। কারণ সেক্ষেত্রে পাকিস্তান টানা দুটি ম্যাচ হারবে, যা তাদের সেমিফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে দিতে পারে। তখন বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে, তাহলে তাদের সামনে সুযোগ আসবে শেষ চারে পৌঁছানোর।
সুতরাং, বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। নিজেদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতের ম্যাচের দিকেও। এখন দেখার, টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না।